ঢাকা উত্তর সিটিতে উপনির্বাচনে মেয়র পদপ্রার্থীরা

ঢাকা উত্তর সিটিতে উপনির্বাচনে মেয়র পদপ্রার্থীরা

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আসন্ন উপনির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের টিকেট পেতে মাঠে জনসংযোগ করছেন ব্যবসায়ী নেতা আতিকুল ইসলাম। অন্যদিকে বিএনপির কাউকে প্রকাশ্যে মাঠে দেখা না গেলেও দলটির নেতারা বলছেন, এবার শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে ভোটে থাকবেন তারা। এ ছাড়া মেয়র পদে বড় দুই দলের মনোনয়ন পাওয়ার চেষ্টায় রয়েছেন অনেকে, আছেন অন্য প্রার্থীরাও। সব ঠিক থাকলে ২৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন। আর তফসিল ঘোষণা করা হবে আগামী ৯ জানুয়ারি।

ঢাকা উত্তর সিটিতে উপনির্বাচনে মেয়র পদপ্রার্থীরা

গেল বছর ৩০ নভেম্বর ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র আনিসুল হকের মৃত্যু হয়। এরপর ৪ ডিসেম্বর মেয়রের পদ শূন্য ঘোষণা করা হয়। ফলে ৯০ দিনের মধ্যে আরেকটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা তৈরি হয়েছে। সে অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন থেকে আসে উপনির্বাচনের ঘোষণা।

এর আগে ৪ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশনের ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন,‘কমিশন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে যে আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়রের শূন্য আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। একই সাথে ঢাকা উত্তরের ১৮টি ওয়ার্ড এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনএর ১৮টি ওয়ার্ডের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ৯ জানুয়ারি বিস্তারিত তফসিল ঘোষণা করা হবে।’

এমন পরিস্থিতিতে উপনির্বাচনে মেয়র পদের প্রার্থী বাছাই নিয়ে বড় দুই রাজনৈতিক শিবিরে জোর তালে আলোচনা চলছে। আর এ আলোচনায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ থেকে নৌকার প্রার্থী হিসেবে সবচেয়ে আলোচিত নাম তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইর সাবেক সভাপতি আতিকুল ইসলামের। দল থেকে সবুজ সংকেত পেয়ে এরই মধ্যে মাঠে নেমে পড়েছেন এই ব্যবসায়ী নেতা।

আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘গ্রিন সিগন্যাল পেয়েছি বলেই তো মাঠে আছি। অবশ্যই আমি সবার সাথে মতবিনিময় করছি। আমি আমার নিজেকে যাচাই করছি। দল যদি চান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চান এটা উনাদের ইচ্ছে। যদি আমাকে না দেন, অন্য কাউকে দেন। অবশ্যই আমি তাঁর সাথে থাকব ইনশা আল্লাহ।’

Brand Bazaarএদিকে, দেশের অন্যতম বড় রাজনৈতিক দল বিএনপির কোন প্রার্থীকে জনমত গঠনে মাঠে দেখা না গেলেও নির্বাচনে অংশ নেবে দলটি আর এবারও প্রথম পছন্দে রয়েছে গতবারের প্রার্থী তাবিথ আউয়াল।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, ‘ তাঁর (তাবিথ আউয়াল) তো একটা ভালো পরিচিতি আছে ওই এলাকায়। স্বাভাবিকভাবেই তাঁর একটা অগ্রাধিকার থাকার কথা। এটা এখন দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমরা আশা করছি, এবারে উত্তরে গত বারের মতো ১২টা, ১টায় ভোট শেষ করে চলে যাওয়া এটা আমাদের ভুল সিদ্ধান্ত ছিল। উই মেড মিসটেক লাস্ট টাইম (গতবার আমরা ভুল করেছি)। এবার তা না, একেবারে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত আমরা থাকবো।’

এ ছাড়া উত্তর সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থী হিসেবে সম্ভাব্য আলোচনায় রয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা সাবের হোসেন চৌধুরী, ঢাকা উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম রহমত উল্লাহ, বিএনপি নেতা অবসরপ্রাপ্ত মেজর কামরুল ইসলাম, সিপিবির আব্দুল্লাহ আল কাফি, গণসংহতি আন্দোলনের জোনায়েদ সাকী, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, ব্যান্ড শিল্পী শাফিন আহমেদসহ অনেকেই।

ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে ভোট গ্রহণের পরিকল্পনা নিয়ে এগুচ্ছে নির্বাচন কমিশন। যার তফসিল ঘোষণার সম্ভাবনা রয়েছে চলতি মাসেই। তবে ডিএনসিসিতে নতুন ১৮টি ওয়ার্ড যুক্ত হওয়ার ফলে আইনি জটিলতায় ভোট আটকে যেতে পারে এমন আলোচনাও রয়েছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment